মেলিক শাহ প্রথম

 মেলিক শাহ প্রথম 

Malik Shah 1

জালাল উদ্দিন মুইজ্জ আল -দুনিয়া ওয়াল -দিন আবু ফাতু ইবনে আল্প আর্সালান (জন্ম ১০৫৫ সাল ১ নভেম্বর। পুরো নাম : মেলিক শাহ প্রথম তার রাজকীয়াও নাম দ্বারা অধিক পরিচিত , ১০৭২ থেকে ১০৯২ সাল পর্যন্ত সেলজুক সম্রাজ্যের সুলতান ছিলেন। 

তার যৌবনের সময় তিনি তার পিত আল্প আর্সালান এর প্রচরণায় অংশ নিয়ে সময় কাটিয়েছেন। পরে উজির নিজাম উল -মুলকের সাথে ১০৭২ সালে একটি প্রচার অভিযানের সময় আল্প আর্সালান মারাত্মকভাবে আহত হন এবং কয়েক দিন পর মারা যান। এর পর মেলিক শাহকে সম্রাজ্যের সুলতান হিসেবে মুকুট দেওয়া হয়েছিল। তবে তার চাচা করকুট তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। মেলিক শাহ সেলজুকের সুলতান থাকাকালীন নিজাম -উল -মূলক পরম ক্ষমতার কাসাকাসি ছিলেন। মেলিক শাহ তার শাসনামলের বাকি সময় কারাখানিদ দের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং কাকাসাসে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাটিয়েছেন।  

Melik Shah 1

যাই হোক মেলিক শাহের যোগদানের ঠিক পরে তার চাচা করভূত নিজের জন্য সিংহাসন দাবি করেন এবং মেলিক শাহকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন 
" আমি বড় ভাই আর আপনি যুবক পুত্র , আমার ভাই আল্প আর্সালান এর উপর আমার অধিক অধিকার রয়েছে "
মেলিক শাহ তখন নিম্নোক্ত বার্তাটি পাঠিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন :
" যখন একটি পুত্র থাকে তখন একজন ভাই উত্তরাধিকার হয় না "

এই বার্তাটি করকুট কে ক্ষুদ্ধ করেছিল এবং তিনি তার সেনাবাহিনী নিয়ে ইসফাহান আক্রমণ করেন। ১০৭৩ সালে হামাদানের কাছে একটি যুদ্ধ হয় ,এই যুদ্ধটি তিন দিন স্থায়ী হয়। করভূতের সাথে ছিল তার সাত পুত্র এবং তার সেনাবাহিনী ছিল তুর্কমানদের নিয়ে যখন মেলিক শাহের সেনাবাহিনীতে ছিল গুলাম ,কুর্দি ও আরব সেনাদের দল। 
যুদ্ধের সময় মালিক শাহ এর সেনাবাহিনীর তুর্কিরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কিন্তু তবুও তিনি কারভুতকে পরাজিত ও ইস্ফাহান দখল করতে সফল হন। কারভুত তখন রহমতের জন্য ভিক্ষা করেন এবং বিনিময়ে ওমানে অবসর নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। যাইহোক নিজাম উল -মূলক এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেন যে তাকে রক্ষা করা দুর্বলতার ইঙ্গিত। কিছু সময় পর কারভুতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। , তখন তার  দুই ছেলে অন্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্যা মোকাবেলার পর মেলিক শাহ কুতলুগু টেগানকে ফার্সের গভর্নর এবং সাভ -ট্যাগেনকে কেরমানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেন। 






১০৭৪ সালে মেলিক শাহ তুর্কি যোদ্ধা অর্ঘরকে আদেশ দিয়েছিলেন যে তিনি শিরভানসা ফারিবুরজ এর অঞ্চলে তার অভিযানের সময় যা ধ্বংস করেছিল তা পুনরোদ্ধার করতে। একই বছরে তিনি করভূত এর পুত্র রুকন আল দৌলা সুলতান শাহ কে কেরমানের শাসক হিসাবে নিযুক্ত করেন। এক বছর পর মালিক শাহ সাভ তেগেন এর অধীনে আরান এ একটি সেনা পাঠান যা সাদ্দাদের শাসক ফাদলূন তৃতীয় দ্বারা শাসিত হয়েছিল। সাভ তেগেন সহজেই এই অঞ্চল জয় করতে সক্ষম হন এভাভেই সাদ্দাদের শাসনের অবসান ঘটে। 


Post a Comment

Previous Post Next Post